মহান বিজয় দিবস-২০২২ উদযাপন উপলক্ষ্যেমোহিনী সৃজনশীল পাঠাগার-এর উদ্যোগে বান্দরবান পার্বত্য জেলার রুমা উপজেলায় বিনামূল্যে সৃজনশীল বই বিতরণ ও পার্বত্য শিশু-কিশোর ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চিত্রাংকন, আবৃত্তি, সঙ্গীত ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘এসো বিজয়ের উৎসবে মিলি’-শর্ষিক এই আনন্দ আয়োজনে অংশ নিয়েছে রুমা বাজার আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কংগোপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রুমা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এবং রুমা সাঙ্গু সরকারি কলেজের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ। গত ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। মোট পাঁচটি বিষয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা। রচনা প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ ‘মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয় দিবস’। চিত্রাংকনের বিষয় ছিল ‘বঙ্গবন্ধু’, ‘জাতীয় ফুল শাপলা’, ‘জাতীয় পাখি দোয়েল’, ‘জাতীয় স্মৃতিসৌধ’ ও ‘পার্বত্য প্রকৃতি’। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস-২০২২ উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ‘বই খুলবে জ্ঞানের দ্বার, দূর করবে অন্ধকার’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সব বয়সী পাঠকের জন্য বান্দরবান পার্বত্য জেলার রুমা উপজেলায় গড়ে উঠেছে ‘মোহিনী সৃজনশীল পাঠাগার’। ইতিমধ্যেই পাঠাগারটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র কর্তৃক নিবন্ধন লাভ করেছে। তবে পাঠাগার গড়ে তোলার আগে বই পাঠের অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য এবং পাঠক তৈরি করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দূর দূরান্তের বিভিন্ন পাড়ায় গিয়ে বিনামূল্যে সৃজনশীল বই বিতরণ করে আসছেন পাঠাগারটির প্রতিষ্ঠাতা, কবি ও শিশুসাহিত্যিক কাজী মোহিনী ইসলাম। এই পাঠাগারে রয়েছে শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, গবেষণা দর্শন, রাজনীতি, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধসহ সব ধরণের বই। আছে দেশ-বিদেশের বহু দূর্লভ পত্র-পত্রিকা ও জার্ণাল। শিশু-কিশোরদের জন্য রয়েছে সমৃদ্ধ শিশু-সাহিত্যের ভান্ডার।
ক্রমান্বয়ে এই পাঠাগারকে আন্তর্জাতিক মানের একটি পাঠাগার হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। পার্বত্য শিশু-কিশোরদের জ্ঞান-বিজ্ঞানে, শিল্প-সাহিত্যে সময়োপযোগি সমৃদ্ধ প্রজন্ম হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মোহিনী সৃজনশীল পাঠাগার’-এর পক্ষ থেকে ‘পাবর্ত্য মনন’ নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যেখানে স্থান পাবে পার্বত্য জেলার স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের স্বরচিত ছড়া-কবিতা, গল্প, চিত্রাংকন ইত্যাদি। এর মাধ্যমে পার্বত্য শিশু-কিশোরদের সুন্দর ও নান্দনিক মননশীলতার বিকাশ ঘটবে বলে মনে করে পাঠাগার কর্তৃপক্ষ।