আসসালামু আলাইকুম
আমি মাসুদুল হাসান জায়েদী, পেশায় একজন ব্যাবসায়ী নেশায় পর্যটক।
একাউন্টিং এ মাস্টার্স এবং ফাইনান্সে এমবিএ করে মা বাবার স্বপ্নকে ধুলিস্যাত করে শখকে পেশা হিসাবে নিয়ে ২০০৭ সালে পর্যটন ব্যবসা শুরু করি।
পর্যটন ব্যবসার শুরুটা হয়েছিল “ইনসাইটা ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস” দিয়ে এবং এখনো এই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং পার্টনার হিসাবে আছি। যদিও আমার বর্তমান প্রতিষ্ঠানের নাম “ফেস্টিভ এন্ড কালচারাল ট্যুরিজম কন্সর্টিয়াম”। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী উৎসব এবং নতুন উৎসব ও সৃংস্কৃতি নিয়ে কাজ করার লক্ষ্যে এ প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত। এই প্রতিষ্ঠানে আমি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এর দায়িত্ব পালন করছি। এছাড়াও “ক্লাউড বিস্ট্রো” রেস্টুরেন্টের অংশীদারিত্ব আছে। পাশাপাশি ভ্রমণমোদীদের জন্য “Wanderlust” নামে আমার একটি অনলাইন গ্রুপও রয়েছে ।
এডভেঞ্চার ক্লাব নর্থ আলপাইন ক্লাব, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। এ ক্লাব থেকেই প্রথম এভারেস্ট অভিযান পরিচালিত হয়। বাংলাদেশের কিশোর তরুনদের মধ্যে এখন যে এডভেঞ্চার ক্রেজ চলছে, তা নিয়ে শুরুর দিকে যে অল্প কয়জন কাজ করেছে তাদের মধ্যে সৌভাগ্যক্রমে আমারও কাজ করার সুযোগ হয়েছে।
তাছাড়া বিভিন্ন সময় নানাবিধ সামাজিক আন্দোলনের সাথে বিভিন্ন সময় যুক্ত থাকি। যেমনঃ যশোরের শতবর্ষী গাছ কাটার প্রতিবাদে পদ যাত্রা করেছি, নদী দূষণের বিরুদ্ধে মানব বন্ধন বা কিছুদিন আগে পর্বতারোহী ও সাইক্লিস্ট রেশমা নাহার রত্নার দূর্ঘটনার প্রতিবাদে পরিবেশ বাচাঁও আন্দোলন (পবা) সহ সমমনা ১২টি সংগঠন কর্মসূচী পালন করে। সেখানে আমি বিটিইএ এর প্রতিনিধিত্ব করি।
বাংলাদেশের প্রথম পর্যটন সমবায় সমিতি, “ঢাকা পর্যটন সমবায় সমিতি লিমিটেড” এর এসিস্টেন্ট সেক্রেটারীর দায়িত্বে ছিলাম। সেই সাথে “বাংলাদেশ ট্যুরিজম ফাউন্ডেশন” এর পরিচালক হিসেবেও নিয়োজিত ছিলাম এবং সম্মিলিত পর্যটন জোটে নির্বাহি সদস্য হিসাবে আছি।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, আমাদের সকলের ভালবাসার ও ভাললাগার সংগঠন “বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার অ্যাসোসিয়েশন -বিটিইএ” এর ভাইস চেয়ারম্যানের পদে আছি।
পর্যটন নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় লেখালেখি করি।
আদি বাড়ি বিক্রমপুর হলেও তিন পুরুষ যাবত পুরানো ঢাকায় বসবাস করছি।
স্বপ্ন পর্যটন শীল্পের জন্য কাজ করে যাওয়া।
আগামী দিনের পথ চলায় আপনাদের সহযোগিতা ও ভালবাসা একান্তই কাম্য।
আমার অফুরন্ত প্রচেষ্টা ও ভালবাসা থাকবে “বিটিইএ” পরিবারের জন্য।
ধন্যবাদ